আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা চল ছুটে যাই, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে কৃমির ওষুধ খাই “
এই স্লোগানে সামনে রেখে আজ ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীম কবির।
এই সময়ে আর উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ আসিফা আশরাফী আইভি, ডাঃ সুমনা সুলতানা, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ইনচার্জ সদর উপজেলা, মোঃ মনির হোসেন পরিসংখ্যানবিদ, আশরাফুল আলম ইপিআই টেকনিশিয়ান, প্রকাশ কুমার শর্মা স্বাস্থ্য পরিদর্শক, রওশন আরা নার্গিস, শওকত মল্লিক, আরো অনেকেই।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একটি অংশ ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম। বাংলাদেশ থেকে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্যে ৫-১৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬-২০ মে দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালিত হবে।
আগামী ১৬ থেকে ২০ মে ২০২১ ইং জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালিত হয় । উক্ত সময়ের মধ্যে ৫-১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে ১ ডােজ কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করাতে হবে ।
আপনার শিশুকে নিকটস্থ কমিউনিটি ক্লিনিকে পাঠিয়ে কৃমিনাশক ওষুধ সেবন নিশ্চিত করুন । একই সময়ে নিজ ব্যবস্থাপনায় পরিবারের সকলে কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করুন । কৃমি অত্যন্ত ক্ষতিকর পরজীবী । কৃমি শিশুদের পুষ্টিহীন করে , শারীরিক ও মেধাবিকাশে ব্যাঘাত ঘটায় ।
৫ থেকে ১৬ বছর বয়সের শিশু-কিশোর সবচেয়ে বেশি এই কৃমিতে আক্রান্ত হয়। কৃমি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং শিশু-কিশোর অপুষ্টিতে ভোগে। পাশাপাশি শিশুর শিখনক্ষমতা হ্রাস পায় ও শ্রেণীকক্ষে সক্রিয় থাকতে বাধার সৃষ্টি করে। কৃমি হলে মানুষের বদহজম, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।